১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ময়মনসিংহ, রাজনীতি, সারা বাংলা আফজাল বাবুর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ নগরীতে ২৫ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা।
২, নভেম্বর, ২০২৩, ৮:০২ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

আফজাল বাবুর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ নগরীতে ২৫ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা।

 

ময়মনসিংহ -৪ আসনের কৃতিসন্তান,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত আস্থাভাজন মানুষ, ময়মনসিংহ-৪ আসনের সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে যার অবস্থান,ময়মনসিংহ -৪ আসনে সবচেয়ে

 

জনপ্রিয় ব্যক্তি জননেতা আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ নগরীতে প্রায় ২৫ হাজার লোকের উপস্থিতিতে আজ বিকেল ৪ ঘটিকায় ঐতিহাসিক কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে এক বিশাল শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা বের হয়। শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাটি কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে বের হয়ে ঐতিহাসিক টাউন হল প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

 

শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা শেষে জননেতা আফজালুর রহমান বাবু তার ভাষণে বলেন বাংলাদেশ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে।পদ্মা সেতু,টানেল,থার্ড টার্মিনাল, হাইওয়ে এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা কে আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।আর একটি গোষ্ঠী জামাত বিএনপি এই উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আফজালুর রহমান বাবু আরো বলেন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জামাত-শিবিরের নৈরাজ্যকে প্রতিহত করব। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে তবেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।

বক্তব্য দিতে গিয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব রেজাউল হাসান বাবু বলেন আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে এই ময়মনসিংহের ইতিহাস সৃষ্টি হলো আজ। ময়মনসিংহের আনাচে কানাচে আজকে কোথাও লোক বসার, দাঁড়ানোর পর্যন্ত জায়গা নেই শুধু কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে টাউন হল পর্যন্ত নয় কেমন যেন সারা ময়মনসিংহ আফজাল বাবুর ডাকে মানুষ আর মানুষ হাজার হাজার মানুষ আফজালুর রহমান বাবুর ডাকে আজ শহরে এসেছে।রেজাউল হাসান বাবু আরো বলেন বাংলাদেশ চালানোর জন্য বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে নেওয়ার জন্য আমাদের রয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা।আর এই ময়মনসিংহের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য আমাদের আছে একজন আফজালুর রহমান বাবু। আমি আজকে ময়মনসিংহ -৪ আসনের এই লক্ষাধিক লোকের সমাগমে সকলের সাথে একাত্মতা বদ্ধ হয়ে এখান থেকে দাবি করছি ময়মনসিংহের এই আসনটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আফজালুর রহমান বাবুকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করেন তাহলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করে আফজালুর রহমান বাবুকে ময়মনসিংহবাসী জাতীয় সংসদে পাঠাবে এই আশার বউকে বেঁধে রেখেছে ময়মনসিংহ-৪ আসনের জনগণ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ময়মনসিংহের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের নেত্রী জনাব ফাতেমা তুজ জোহরা রানী বলেন আজকে কেবল ময়মনসিংহ শহরে লাখো জনতার সমাগম ঘটাতে সম্ভব হয়েছে একমাত্র আফজালুর রহমান বাবুর ম্যাজিক্যাল লিডারশিপ এর মাধ্যমে। আফজালুর রহমান বাবু ময়মনসিংহ-৪ আসনের সকল বিতরকের উর্ধ্বে একটি নাম। যত যত প্রার্থী রয়েছে সকলের যেখানে বিভিন্ন বিতর্কে ভরা ঠিক সেই মুহূর্তে ময়মনসিংহবাসী উৎফুল্লিত হয়েছে একজন বিতর্কের উর্ধ্বে থাকা মানুষ আফজালুর রহমান বাবু কে পেয়ে। এই অবস্থায় আমি লাখো মানুষেরই কন্ঠে মিলিত হয়ে একই কথা উচ্চারণ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি আমাদের ময়মনসিংহ-৪ আসনকে উন্নয়নের রোল মডেল বানাতে আপনার বিশ্বস্ত সিপাহশালা জননেতা আফজালুর রহমান বাবুকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করুন।তবেই ময়মনসিংহবাসী অকল্পনীয় ভোটের ব্যবধানে জাতীয় সংসদে পাঠাবে এই আশা করে রেখেছে ময়মনসিংহ-৪ আসনের জনগন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এমদাদুল হক আরমান বলেন আমাদের দাবি একটি। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই আসনে নৌকায় ভোট দিতে পারি না। তাছাড়া বেগম রোওশন এরশাদ অসুস্থ থাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না। এবং বিগত দিনে নৌকা প্রতীক পেয়ে এই আসনটি গ্রুপিং এর কারনে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বিভিন্ন নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থীদের। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে ময়মনসিংহ -৪ আসনে এমন একজন বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা মানুষের নাম নৌকার মাঝি হিসাবে। আর সেই বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা মানুষটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন জননেতা আফজালুর রহমান বাবু। চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আরমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরো বলেন জননেতা আফজালুর রহমান বাবুকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে ময়মনসিংহ মাসির স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।আমি সহ সদর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রত্যেকটি মেম্বার প্রত্যেকটি মহিলা মেম্বার সকলেই আজ ঐক্যবদ্ধভাবে আফজালুর রহমান বাবুকে আগামীতে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।কারণ আফজালুর রহমান বাবু এমপি না থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে ঘুরে ঘুরে ময়মনসিংহ বাসীর উন্নয়নের ধার উন্মোচিত করার কাজে সব সময় আমাদেরকে নিয়ে জড়িত থাকেন।
বোররচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম সাব্বির বলেন আজকে শুধু আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরাই শুধু নই, শুধু মেম্বাররাই নয় পুরো ময়মনসিংহ চার আসনের সর্বস্তরের জনগণের চাওয়া হল আফজালুর রহমান বাবুর মতো একজন মানুষ ময়মনসিংহ -৪ আসনের নেতৃত্ব দিক জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে। তবেই আমরা হুরহুর করে সারা বাংলায় এই আসন টি উন্নয়নের স্বর্ণশিখর হবে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব উত্তম চক্রবর্তী রকেট,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ সম্পাদক জনাব তানজির আহমেদ রাজিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আজিজুর রহমান ইমন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব হুমায়ুন কোভিদ হিমেল,বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি জনাব নাসিম আহমেদ নেকু,মহানগর যুবলীগ নেতা জনাব রাফিউল আদনান প্রিয়ম,মুক্তিযোদ্ধ সংহতি পরিষদ ময়মনসিংহের বিভাগীয় সমন্বয়ক ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রকৌশলীর রাজিবুল আলম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহিনুর রহমান সাগর, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন কাজল ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার অনন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হাসান মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহিদ মজলিস আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আমানুর রহমান শৈবাল মহানগর ২৩ ফর ইয়ুতের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা রহমান কোভিদ আদনান তাহা,
এছাড়াও শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় প্রায় দুইশতর অধিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার, দুইশতর অধিক ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রিয় অ্যাডভোকেট বৃন্দ,প্রায় ৫০ জন পুরোহিত, প্রায় দুইশত ইমাম, প্রায় একশত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক মন্ডলী সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।

স্লোগানের স্লোগানে মুখরিত হয় ময়মনসিংহের রাজপথ। ছিল না কোন কূলকিনারা মিছিলের। মিছিলের কোথায় শেষ কোথায় শুরু কেউ বলতে পারেনি। আফজাল বাবুর নেতৃত্বে স্মরণকালের এই শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাটি অতীতের সকল রেকর্ড যেন ছাড়িয়ে ফেলেছে।যেদিকেই তাকানো যায় শুধু মানুষ আর মানুষ স্লোগান একটাই
শেখ হাসিনার সরকার
বার বার দরকার
ডাক দিয়েছেন বাবু ভাই
বসে থাকার সময় নাই
ময়মনসিংহ -৪ আসনে এমপি হিসেবে তারে সদর বাসী।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু